১)
ক্যামেরা চলছেই—
রংচটা বাড়িটার ঘুলঘুলি দেখেছিল পিপাসা আর আবেগের মতিভ্রম
ঘরের কোণের থেকে বালিমাপা কম্পাস মাপছিল আলজিভ
হেমন্ত জানত নবান্ন নেই
কোনোখানে,আছে রাজনৈতিক সন্তরণ
জানালার চক্ষু দেখেছিল মেট্রোরেলের পাশেই ধ্বস্ত বহু্বাজার,চারপাশে
বিরতিবিহীন যুদ্ধবাজনা—-অচেনা মানচিত্র,কোনো পথনির্দেশকলিপি নেই
বাড়াভাতের পাশে আছে ছাইদানি
২)
রঙ্গালয়।ভোটমঞ্চ।পৃথ্বিবাসীর
আশ ও নিরাশ্বাস উপচে
পিছল জলসিঁড়ি আর ছপাৎছপাৎ আলেখ্য ঘিরে এই চৈত্রকবিতায়
না-বালিকার না-বলা কাহিনি.
এখানে শিকারকাহিনির
চিহ্ন খুঁজে পাবেন না্ ,পাবেন রতিচিহ্নের উন্মাদনা,
ব্জ্রকীটের খেলা,জনান্তিকে চিতার ধোঁয়া আর ভস্মের নিরালোকে..নাবালিকার
না-বলা কাহিনির অর্কাইভ
সিঁড়ির ধাপেধাপে
জেব্রাছায়ায় এভাবেই নতুন কবিতার জন্ম হয়
৩)
বিয়োগের খাতায় আমি এখনও
যোগচিহ্ন
তোমার এ গুণ ভাগ করে নিলাম,আমিও
সাদাপাতার শূন্যস্থান পারিনি
পূরণ করতে
বৃষ্টির ইলিউসনে তুমিই
ভেসে ওঠো
মধ্য-আষাঢ়ে চূর্ণী
নদীটি
জোছনা পান করে,আমি
সকাল খুলে থাকি পথের পাশে..